Wednesday, March 23, 2016

সর্বোচ্চ সাইক্লিং গতি ৫৫!

সর্বোচ্চ সাইক্লিং গতি ৫৫!

সাব্বির আহমেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: গতির পরীক্ষায় এ পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ গতি ৫৫! সেই রেকর্ড ভাঙ্গতে এখনই চলে আসুন ধানমন্ডি ৮-এর রবীন্দ্র সরোবরে বিডিসাইক্লিস্টসের স্টলে। তারুণ্যময় পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ সাইক্লিং- ইয়ুথ ট্যুরিজম ফেস্টে বিডিসাইক্লিস্ট স্টলের ভিড় দেখে সেটাই ধরে নেয়া যায়।
দু’দিনব্যাপি এই পর্যটন মেলার শেষ হচ্চে শনিবার (১৯ মার্চ) রাত ৮ টায়।


পর্যটন বিচিত্রার আয়োজনে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও বোর্ডের সহযোগিতায় আ্যামেচার ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠান নিয়ে চলছে এই মেলা।

ফেসবুকভিত্তিক সংগঠন বিডি সাইক্লিস্ট  জানায়,  স্পিড কন্টেস্টে এখন পর্যন্ত নাসিম চৌধুরী নামে একজন ৫৫ স্পিড তুলে প্রথম স্থানে আছেন। কেউ যদি ৫৫ স্পিড ব্রেক করতে চান তাহলে চলে আসতে হবে এখানে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চলছে এই প্রতিযোগিতা।

পাশাপাশি ইয়ুথ ট্যুরিজম ফেস্টে ক্যাম্পিং, হাইকিং, ক্লাইম্বিং, প্যারাসেইলিং, সার্ফিং স্নোরকলিং, স্কুবা ডাইভিং, সাইক্লিংসহ পর্যটনের নতুন উদ্যেগ প্রাধান্য পাচ্ছে।

পর্যনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননও ট্যুরিজম ফেস্ট ঘুরে এসে জানান, পর্যটনে নতুন নতুন প্রডাক্ট আসছে। তরুণদের অংশগ্রহন বাড়ছে।এটা একটি শিল্প যার সঙ্গে যুক্ত কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড জড়িত। একজন পর্যক মানেই ১১ টি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে।

অনলাইনে এক লাখ তরুণ এই ইয়ুথ ট্যুরিজম ফেস্টে সম্পৃক্ত হয়েছে বলেও-জানান মন্ত্রী 

সাউথ এশিয়া ট্যুরিজম ফেডারেশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ট্যুরিজম ডেভোলাপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল একরাম বলেন, ‘প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই তরুণরা সাফল্যের মূল ভূমিকা রাখেন। তেমনি পর্যটনে তাদের অংশগ্রহন সফলতার চুড়ায় পৌছার পথ সহজ করে দেবে। আরও তরুণ পর্যঠবন এবং এ খাতের সাথে জড়িত হবে বলে মনে করে তিনি।

অনলাইন এবং অফলাইনে সাইক্লিস্টদের ব্যাপক অংশগ্রহনকে দেশের পর্যটন খাতে একটি সম্ভাবনায় দিক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্চে। এমনকি বিদেশীদের বাংলাদেশ ভ্রমনের সময় সাইক্লিং আগ্রহ ট্যুরিজম বিকাশে সাইক্লিংকে আরও জনপ্রিয় করছে।

মেলায় বিডিসাইক্লিস্টস স্টলের ভিড়ই শুধু নয় এখন সাইক্লিং ট্যুরিজমের যে ট্রেন্ড শুরু হয়েছে সেটা বাংলাদেশে এর আগে কখনও ছিলো না- এমনটি বলছিলেন কম্যুনিটিভিত্তিক সাইক্লিয়ে যুক্ত সবুজ।
প্রতিদিন বাসা থেকে অফিসে সাইক্লিং করে যাতায়াত করেন তিনি। 
ছবিটি বিডি সাইক্লিস্ট ফেইসবুক  থেকে

বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকারে সবুজ জানান, প্রতি শুক্রবার তারা বাইক ফ্রাইডে নামে রাজধানী ঢাকায় নিয়মিত তারা রাইড করেন। 

শনিবারে সকালে দুটো কার্যক্রম তারা পরিচালনা করেন। একটি অভিজ্ঞ লেভেলের রাইডারদের জন্য অন্যটি  যারা সাইক্লিং শুরু করতে চায়  তাদের জন্য। আর এর জন্য কোন মূল্য দিতে হয় না। এমনটি শিখার জন্য সাইকেলও সরবরাহ করেন তারা-জানান সবুজ।

প্রতি সপ্তাহে আগ্রহী ১০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। মহিলা-শিশু-বৃদ্ধ সব শ্রেণী পেশা ও বয়সের মানুষই তাদের সঙ্গে যুগ দিতে পারেন সাইক্লিংয়ের মাধ্যমে-বলছিলেন তিনি। 

তিনি আরও জানান , মাউন্টেন বাইকিংয়ের জন্য এখন সাইক্লিস্টদের স্বপ্নের জায়গা হলো সিলেটের হবিগঞ্জের রেমা কালেঙ্গা। সব সাইক্লিস্টরাই একবার না একবার সেখানে গেছে।

আর যদি বলা হয় সাইক্লিংয়ের রাজধানী তাহলো এর উত্তর সিলেটের শ্রীমঙ্গল-বলেন সবুজ। ওখানে বিদেশিরা দিনে ৮শ টাকায় একটি সাইকেল ভাড়া করে সাইক্লিং করে। সব বিদেশী তাদের সাইক্লিংয়ের জন্য শ্রীমঙ্গলকে সবচেয়ে উত্তম মনে করেন। শ্রীমঙ্গলের পথঘাট আর চা বাগানের গলি রাস্তা দিয়ে সাইক্লিং না করে তারা ফিরে আসেন না।

বাংলাদেশ সময় : ১৫৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৬
এসএ/

1 comment:

  1. সাইক্লিংয়ের রাজধানী সিলেটের শ্রীমঙ্গল

    ReplyDelete