Monday, May 2, 2016

পদ্মার দুরন্ত কৈশোর


পদ্মা নদী (মাওয়া ও জাজিরা) থেকে ফিরে: তাদের কাছে পদ্মা সতত আনন্দ-উল্লাস, হইহুল্লোড় আর উচ্ছ্বাস

 প্রকাশের নদী। তাদের জীবনের পরতে পরতে পদ্মা। রোদে পোড়া ক্লান্তি ওদের নিমিষেই হারিয়ে যায় পদ্মার জলে।

শৈশব ও দুরন্ত কৈশোরের সব আনন্দ ওদের জলকেলিতে। ঠাণ্ডা পানির স্পর্শ থেকে বেরিয়ে আসে ওদের সজীব আনন্দ। এক দুই ঘণ্টা নয়, টানা চার পাঁচ ঘণ্টা পদ্মার জল তরঙ্গে এরা সাঁতার কেটে বেড়ায়।


ওদেরই একজন মিথুল। দশ-এগারো বছরের মিথুলের কাছে পদ্মার ঢেউয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভাসা কোন কষ্টের নাম নয়। এর নাম উল্লাস, আনন্দ আর উচ্ছ্বাস।
তার আগে বেশ দূর থেকে মিথুলদের দেখে মনে হচ্ছিলো কাছে না গেলে ‘মিস’।

তাই স্পিড বোট ঘুরিয়ে নিতে হলো। কাছে এসে গতি থামিয়ে দিতেই কিশোরের দল ঝাঁপিয়ে এলো স্পিডবোটের ‍দিকে। মনে হচ্ছে স্পিডবোট তাদের উদ্ধারে এসেছে! কিন্তু না, বরং তাদের জলকেলির সঙ্গী হতেই কাছে যাওয়া।


লাফালাফি করে ওরা স্পিডবোট ধরে বেশ কাত করে ফেলছিলো। চালক পেছনে ঘুরিয়ে নিলেন। ওরা আবার ব্যস্ত হলো জলকেলিতে। আনন্দময় শৈশবের এক দুপুরে ওদের উল্লাসের চিত্র বন্দি হচ্ছে ফ্রেমে।


মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া নৌঘাটের পাশে পদ্মায় জলতরঙ্গ মাড়িয়ে শৈশব কৌশরের সুখময় সময় পার করছে এরা।


পদ্মা পাড়ে এই কৈশোর দলের প্রতিদিনের ঠিকানাই জলতরঙ্গের সঙ্গে লাফালাফি। যে পদ্মার স্রোতের প্রখরতা লঞ্চ ডুবিয়ে দেয়। সেই স্রোতে গা ভাসায় এরা প্রতিনিয়ত। তীর ভাঙ্গা ঢেউ মোকাবেলা তাদের কাছে জীবনের আর এক নাম। সেই ঢেউকে আবার ভয় কিসে?

No comments:

Post a Comment